বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

বানিয়াচংয়ে নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা

রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ): বানিয়াচংয়ে ৮০ শতাংশ রিকশাই এখন ব্যাটারিচালিত। এ রিকশার পায়ে প্যাডেল মারতে হয় না। চলে মোটরের মাধ্যমে। প্রযুক্তির এ ব্যবহারটি বিজ্ঞানসম্মত নয়। স্থানীয় কারিগররা রিকশার নিচের অংশের কাঠামোর সঙ্গে একটি ব্যাটারি, মোটরসহ কিছু খুচরা যন্ত্রাংশ দিয়ে রিকশাগুলোকে অটোরিক্সা বানিয়ে দিচ্ছেন। রিকশা চালাতে এখন আর বয়স বা চালকের শক্তি-সামর্থের প্রয়োজন হয় না। সুইচ টিপে ধরলেই হাওয়ার বেগে চলতে শুরু করে ব্যাটারিচালিত এ রিকশা। এদিকে এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা চার্জ দিতে দিনের পর দিন অবাধে চুরি করা হচ্ছে বিদ্যুৎ।

শহরের রাস্তাঘাট তুলনামূলক ভালো তাই ঝুঁকি কম থাকে, কিন্তু কাঁচা বা খানাখন্দে ভরা রাস্তায় এসব দ্রুত গতির রিকশা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। ব্যাটারিচালিত এ রিকশার আকার ও ওজন গতির সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন। এ ছাড়া চালকরা যান্ত্রিক সুবিধা পেয়ে স্বাভাবিক গতির চেয়ে অতিরিক্ত গতিতে চালান। এতে অতিরিক্ত ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। ঝাঁকুনির মাত্রা এত প্রবল হয় যে, সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ছাড়া এ রিকশা মোড় ঘোরানোর সময় প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, বানিয়াচংয়ের এক বাজার থেকে অন্য বাজারে যেতে কিশোর বয়সের ছেলেরা রিকশা নিয়ে হর্ন বাজিয়ে দ্রুতগতিতে যাত্রীসহ পথ অতিক্রম করছে। সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী হওয়ায় যাত্রীরাও সময়ের কথা বিবেচনা করে এ ধরনের বাহন বেছে নেন। জানা যায়, একটি সাধারণ রিকশা ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সায় রূপান্তর করতে ১৫-১৭ হাজার টাকা খরচ হয়। সারারাত চার্জ দিয়ে পুরো দিনই চালানো যায়। প্যাডেল মেরে রিকশা চালিয়ে দিনে ২৫০-৩০০ টাকা রোজগার হয়। এখন কম পরিশ্রমেই দিনে ৪৫০-৫০০ টাকা রোজগার করা যায়। অটোরিক্সায় যাতায়াত করেন, এমন কয়েকজন নারী যাত্রী অভিযোগ করেন, ভয়ে তারা অটোরিক্সায় চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।

এদিকে এ রিক্সার কারণে পল্লী বিদ্যুতের একশ্রেণির কর্মকর্তার পকেট ভারী হচ্ছে। এমনটা ই জানিয়েছে বিভিন্ন জায়গায় চার্জ দিতে যাওয়া চালকরা।

পল্লী বিদ্যুৎ বানিয়াচং শাখার ডিজিএম মো. ইসমাত কামাল বলেন, চালকরা গভীর রাতে বিদ্যুৎ চুরি করে রিক্সার ব্যাটারিগুলো চার্জ দিয়ে থাকেন। অনেক সময় মেইন লাইন থেকে অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে ব্যাটারি চার্জ করে তারা। আমরা মাঝে মধ্যে অভিযানে নেমে জরিমানাও করি। অবৈধ এ যান চলাচল বন্ধ বা এর উপর প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ দরকার বলে জানান তিনি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com